পোলট্রির মেটাবলিক রোগসমূহের মধ্যে অন্যতম রোগ হলো গাউট। বর্তমানে পোলট্রির নানা ধরনের জেনেটিক পরিবর্তন এবং গবেষণা করে অল্প পরিশ্রমে সুস্থ ও উৎপাদন নিশ্চিত করতে হয়। মেটাবলিক রোগ হল পোলট্রির শরীরের মধ্যে বিপাকক্রিয়াজনিত সমস্যা। শরীরের প্রধান প্রধান অংগসমূহের যেমন, কিডনি, লিভার, হার্ট এবং ফুসফুসের অস্বাভাবিক কার্যকারিতার মধ্যে কোন ধরনের রাসায়নিক পরিবর্তন সাধিত হলেই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
গাউটের প্রকারভেদ :
পোলট্রির রেচন পক্রিয়ার প্রোটিন এবং পিউরিন মেটাবলিজম হয়ে শেষ প্রডাক্ট উৎপন্ন হয় ইউরিক এসিড। এই ইউরিক এসিড লিভারে তৈরি হয় এবং কিডনির মাধ্যমে তা শরীর থেকে বের হয়ে যায়। মুরগি ইউরোকোটেলিক, ইউরিয়েজ এনজাইমের ঘাটতি হলে এবং পানি গ্রহণের পরিমাণ কমে গেলে ইউরিক এসিড অনেকটা সেমি সলিড হিসাবে মলমূত্রের সাথে বেরিয়ে পড়ে।
এই পরিপাক তন্ত্রের কোন গোলযোগ সৃষ্টি হলে তা ইউরিক এসিড সঠিকভাবে বের হতে না পারলেই তা পর্যায়ক্রমে গাউটে পরিণত হয়। তাই পোলট্রিতে গাউট হতে পারে কিডনি দ্বারা নির্গত বা বের হওয়ার চেয়ে বেশি মাত্রায় ইউরিক এসিড উৎপন্ন হলে অথবা পরিমাণমতো ইউরিক এসিড উৎপন্ন হওয়ার পরেও তা যদি কিডনি কাজ করতে ব্যর্থ হলেও। লিটার গাউট হওয়ার খুব স্বাভাবিক বিষয় হিসাবে কাজ করে। ইউরিক এসিড কম পরিমাণে বের হলে তা মুরগীর রক্ত এবং শরীরের ফ্লুইডে জমা হয়। যা পরবর্তীতে বিভিন্ন ট্যিসুতে জমা হয়।
উৎপাদন ব্যাহতসহ মৃত্যুর হার বাড়তে পারে কারণ রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কার্যক্ষমতা কমে যায়। মেকানিক্যাল ক্ষতি হয়ে রক্তের নানা সমস্যা সৃষ্টি করে মুরগি মারা যায়। বিভিন্ন অঙ্গে ইউরিক এসিড জমা হওয়ার উপর ভিত্তি করে গাউটকে বেশ কয়েকটি ভাবে ভাগ করা যায়- তা নিম্নে দেয়া হলো-
ভিসেরাল গাউট : ইউরিক এসিডের ক্রিসটাল অভ্যন্তরীণ অঙ্গ যেমন, কিডনি, লিভার, হার্ট, এবং অন্ত্রে। পোলট্রিতে এই সমস্যা খুবই মারাত্বক এবং সচারচর ঘটে। এই সমস্যায় আক্রান্ত ফ্লকের মৃত্যুর হার শতকরা ১৫-৩৫% পর্যন্ত হতে পারে। যা অল্প বয়স্ক পোলট্রিতে বেশি দেখা যায়।
আর্টিকুলার গাউট : জয়েন্ট, টেনডন এবং লিগামেন্ট সিটে জমা হলে তাকে আর্টিকুলার গাউট বলে। এটি গাউটের ক্রনিক ফর্ম যার সাথে জেনেটিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকে। খুবই কম দেখা যায় এই ধরনের সমস্যাটি। এই উভয় প্রকারের গাউটেই সাদা চকের মত নিডিল সেপ স্ক্রিটটাল যা সাধারণত টফি নামে পরিচিত। গাউটে আক্রান্ত মুরগির রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ ৪৪ মিলিগ্রাম/১০০ মিলি যেখানে স্বাভাবিকভাবে থাকে ৫-৭ মিলিগ্রাম/১০০ মিলি।
গাউটের লক্ষণ : সাধারণ এবং অনির্দিষ্ট লক্ষণ যেমন, বিষণœ, খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ কমে যাওয়া, শুষ্ক (রাফেড) ফিদার, ইমাসিয়েসন, লেমনেস, মইস্ট ভেন্ট (ভেজা পায়ুপথ) এবং ইন্টারাইটিস প্রভৃতি প্রকাশ পায় যা গাউটের সম্ভাব্যতা নির্দেশ করে। তবে নিশ্চিত হওয়ার একমাত্র উপায় হলো পোস্টমর্টেম। পোস্টমর্টেম করা হলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে সাদা চকের মতো লক্ষণ প্রকাশ পায়। কিডনি ফুলে যায় এবং আকার অতিরিক্তভাবে বেড়ে যায়।
গাউটের কারণ (পধঁংবং ড়ভ এড়ঁঃ):
বিস্তারিত আলোচনা নিম্নে দেয়া হলো :
১. নিউট্রিশনাল/পুষ্টিগত কারণ
* ক্যালসিয়াম : খাদ্যে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম এবং কম মাত্রায় ফসফরাস থাকলে ক্যালসিয়াম- সোডিয়াম- ইউরেট ক্রিস্টাল তৈরি হয়। ফসফরাস ইউরিনের এসিডিফাইয়ার হিসাবে কাজ করে এবং কম ফসফরাস ইউরেট ক্রিস্টাল গঠনে সহায়তা করে।
* সোডিয়াম : সোডিয়ামের বিষক্রিয়া কিডনিতে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করে। খাদ্যে অতিরিক্ত সোডিয়াম বাইকার্বোনেট ব্যবহার করলে ইউরিনের ক্ষারীয়তা বৃদ্ধি করে। যা কিডনিতে পাথর সৃষ্টির সম্ভাব্যতা বাড়ায়। পানিতে অতিরিক্ত মাত্রায় লবণও কিডনিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
* সালফেট : সালফেটের অসামঞ্জস্যতা সৃষ্টি হলে ক্যালসিয়ামের পুনঃ শোষণ কমিয়ে দেয় ফলে মুত্রের মাধ্যমে অতিরিক্ত যা গাউটের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে।
ভিটামিন : অতিরিক্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি৩ অন্ত্রের ক্যালসিয়াম শোষণ বাড়িয়ে দেয় যা গাউটের পক্ষে কাজ করে এবং পরবর্তীতে ইউরেট ক্রিস্টাল প্রস্তুতে সহায়তা করে। দীর্ঘ সময় ভিটামিন এ এর ঘাটতি থাকলে অন্ত্রের টিবিউলার কোষগুলো সঠিকভাবে বৃদ্ধি পায় না যার ফলে কিডনিতে ইউরেটস জমা হয়।
প্রোটিন : কিডনি সুস্থ থাকলে প্রোটিন একটু বেশি থাকলেও সমস্যা হয় না। কিন্তু কোন কারণে যদি কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত থাকে তাহলে তা ফিডে ৩০ শতাংশের বেশি ক্রুড প্রোটিন হলে তা খুব ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। প্রোটিন উপাদানে যদি কোন ভেজাল থাকে তাহলে তা ইউরিয়া বিভাজিত হয়ে নাইট্রোজেনাস উপকরণসমূহ বাড়িয়ে দেয় যার ইউরিক এসিডের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। এই অবস্থা কিডনির কার্যকরিতা কমিয়ে গাউটের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
২. ছোঁয়াচে বা ইনফেকশিয়াস কারণ
ভাইরাল : বেশ কিছু ভাইরাল রোগের বিভিন্ন অবস্থা গাউটের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।
ইনফেকশিয়াস ব্রঙ্কাইটিস ভাইরাস : আইবিভি ভাইরাসের নেফ্রোপ্যাথোজনিক স্ট্রেইন কিডনিকে বিরূপ প্রভাব ফেলে। যা নেফ্রাইটিস এবং মৃত্যুর হার বাড়ায়। পিতামাতার মাধ্যমে এই রোগ ছড়ালে তা অল্প বয়স্ক পোলট্রি বাচ্চার মধ্যে গাউটের সমস্যা সৃষ্টি করে।
এভিয়ান এস্ট্রভাইরাস : এই ভাইরাসের দুইটি প্রজাতি উভয়ই কিডনির কার্যক্ষমতা ব্যহত করে ফলে ইউরিক এসিড শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে জমা হয়। মারাত্মক নেফ্রাইটিস এবং কিডনি ড্যামেজ অল্প বয়স্ক মুরগিতে বেশি দেখা যায়। ইনফেকশিয়াস ব্রঙ্কাইটিস ডিজিজের মতোই এটিও জেনেটিক্যালি পিতামাতা থেকে বাচ্চার মধ্যে স্থানান্তরিত হতে পারে।
ইনফেকশিয়াস বার্সাল ডিজিজ : যদিও গাউটের উপর এই রোগের খুব বেশি প্রভাব নেই তবুও গাউটের সম্ভাব্য কারণের মধ্যে রয়েছে।
মেটাবলিক কারণ : হাইপোক্সিক বা অক্সিজেনের ঘাটতি হলে ইউরিক এসিড উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। প্রথম দিকে এসসাইটিস হলে তা পরবর্তীকে গাউটের প্রভাব বাড়ায়।
মাইকোটক্সিন : অর্কাটক্সিন, সাইট্রিনিন এবং অনান্য পেস্টিসাইড বা ইনসেকটিসাইডের ক্ষতিকর উপাদানের রেসিডিউ কিডনি টিস্যুর উপর প্রভাব পড়ে যার ফলে কিডনির টিবিউলস এবং ইউরেটার ফুলে যায়।
৩. ব্যবস্থাপনা বা ম্যানেজমেন্ট কারণ
পানির ঘাটতি :
* ব্রæডিং এর খুব কম বা বেশি তাপমাত্রায় বাচ্চা খুব ঠাÐা বা গরমে শুষ্ক হয়ে যায় যার ফলে পানির গ্রহণের পরিমাণ কমে যায় এবং পরবর্তীতে তা গাউটের কারণ হতে পারে।
* অপর্যাপ্ত পানির পাত্রের বা নিপলের সংখ্যা।
* পানির পাত্রের উচ্চতায় সমস্যার কারণে পানি গ্রহণের সমস্যা। ফলে পানির অভাবে গাউট হতে পারে।
* ভ্যাকসিন প্রদানের সময় বেশিক্ষণ পানি ছাড়া রাখলে।
* পানির অ¤øতা কম হলে এপিথেলিয়াল লেয়ারের ইরিটেশনের কারণে পানি গ্রহণ কমে যাওয়া।
অস্বাভাবিক হ্যাচারি ম্যানেজমেন্ট ঃ
* ডিম সংরক্ষণ জনিত যে কোন সমস্যা।
* অপর্যাপ্ত ইনকুবেশন অবস্থা।
* বাচ্চা রাখার ঘরের উপযুক্ত পরিবেশের ঘাটতি হওয়া।
* বাচ্চাকে হ্যাচারিতে বেশিক্ষণ রাখা বা পরিবহনের সময় দীর্ঘ সময় পানি ছাড়া রাখা।
* অনান্য ব্যবস্থাপনা কৌশলের মধ্যে শেডের উপযুক্ত তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং ভেন্টিলেশনের সমস্যার কারণে খাবার ও পানি গ্রহণে সমস্যা।
৪. অনান্য সমস্যাসমূহ
ওষুধ এবং কেমিক্যালস :
* কিছু এন্টিবায়োটিকস কিডনির মাধ্যমে বেরিয়ে যায় এ ক্ষেত্রে এসব এন্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ডোজ কিডনিতে ব্যাপক প্রভাবে ফেলে।
* ফেনল এবং ক্রিসল প্রজাতির কেমিক্যালসম‚হ অস্বাভাবিক ব্যবহারের ফলে অনেক সময় এর উপদ্রব্য মারাত্মকভাবে কিডনিতে প্রভাব ফেলে।
* পানিতে বেশি মাত্রায় কপার সালফেট বা তুঁতে দেয়ায় পানি গ্রহণ কমে গাউটের সম্ভাবনা বাড়ায়।
* মুরগির ইউরেটরে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা গাউটের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।
গাউটের প্রতিকার :
গাউটের সমস্যা সমাধান করতে হয় উপরের উল্লেখিত কারণসমূহ বিবেচনা করে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে ব্রিডার থেকে শুরু করে বাণিজ্যিক ফার্মে সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হয়। নিম্ন বর্ণিত বিষয়সমূহ প্র্যাকটিস করা যেতে পারে।
রোগ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা
* কমার্শিয়াল ফার্ম এবং ব্রিডারের ইনফেকশিয়াস ব্রংকাইটিস রোগের টিকার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যেখানে আই বি এর প্রভাব বেশি থাকে সেসব স্থানে হ্যাচারি পর্যায়ে মুরগীতে স্প্রে করাতে বেশ কার্যকরী। চার দিন বয়সে আইবি এর নেফ্রট্রপিক স্ট্রেইন ভ্যাকসিন দিলে বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়।
* ব্রিডারের ভ্যাকসিনেশন তালিকায় এএনভি এবং সিএ এসটিভি সমৃদ্ধ এভিয়ান এস্ট্রোভাইরাস ভ্যাকসিন দিলে বাচ্চার মধ্যে এই রোগের বিস্তার রোধ করা সম্ভব।
* মাইকোটক্সিন ব্যবস্থাপনা যথাযথ রেখে গাউটের বৃদ্ধি রোধ নিশ্চিতের চেষ্টা করতে হবে। মাইকোটক্সিনের কাঁচামাল সঠিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে উপযুক্ত মাননিশ্চিত করতে হবে। ফিডের সাথে ভালো মানের টক্সিন বাইন্ডার এবং এসিডিফাইয়ার যোগ করতে হবে। এতে করে মাইকোটক্সিন এবং অনুজীবের লোড থাকবে স্বাভাবিক।
* নীতি মেনে এন্টিবায়োটিক, ডিসইনফেকটেন্ট, কেমিক্যাল, এন্টি কক্সিডিয়াল প্রভৃতি ব্যবহার করলে কিডনির উপর বিরূপ প্রভাব কমবে।
হ্যাচারি ও ফার্মের ব্যবস্থাপনা কৌশল
* পর্যাপ্ত ইনকুবেশন অবস্থা নিশ্চিত করা- প্রয়োজন মত উপযুক্ত তাপমাত্রা এবং হিউমিডিটি রাখতে হবে।
* উপযুক্ত ডিম সংরক্ষণ এবং হ্যান্ডলিং অবস্থা ঠিক রাখতে হবে।
* প্রথমবার বাচ্চা উঠার পর দীর্ঘসময় বাচ্চা যেন পানির অভাবে না থাকে সে বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। বেশি দূরত্বে বাচ্চা গেলে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
* ব্রæডিং এর উপযুক্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
* ফার্মের মধ্যে পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশন নিশ্চিত করতে হবে।
ফিড এবং ওয়াটার ব্যবস্থাপনা
* ফিডে সঠিক মাত্রায় ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস নিশ্চিত করতে হবে।
* যথাযথ ইলেকট্রোলাইট সরবরাহ করতে হবে। এটাতে অভ্যস্থ থাকতে হবে। সোডিয়াম এর পরিমাণ যখন প্রয়োজন তখন দিতে হবে এবং কোনোভাবেই ৫% এর বেশি সোডিয়াম রাখা যাবে না। সোডিয়ামের জন্য পানির উৎস ও স্বাভাবিক ভালো হতে হবে। গাউটের সমস্যা দৃশ্যমান হলে সোডিয়াম বাইকার্বোনেট থেকে সোডিয়াম প্রক্রিয়াজাত করার পরিমাণ কমাতে হবে। গাউট হলে অতিরিক্ত কিছু ইলেকট্রোলাইট ইউরিক এসিডের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মর্টিলিটি কমানো সম্ভব। চিনির শরবত এক্ষেত্রে ভালো কাজ করে।
* যে এলাকায় গাউট হওয়ার প্রমাণ আছে সেসব ক্ষেত্রে প্রোটিনের পরিমাণ ব্রিডের মানের চেয়ে বেশি দেওয়া যাবে না। কাঁচামাল অবশ্যই ভালোভাবে দেখতে হবে যেন কোনোভাবে তা ইউরিয়া দ্বারা সংক্রমিত না থাকে। কারণ ইউরিয়া বেশি হলে তা ইউরিক এসিড উৎপন্ন করে থাকে। গাউটের সময় ফিড ডাইলেশন অনুশীলন করতে হবে। তা গ্রেইন উৎসের সাথে ডাইলুটেড করে অথবা বিকল্প কোন উপাদান যোগ করে তা ৫-৭ দিন প্রয়োগ করতে হবে। যা কিডনির উপর কিছুটা প্রভাব কমাতে সহায়তা করে।
* পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন খাবার পানির পাত্র সরবরাহ করার মাধ্যমে পানি গ্রহণের পরিমাণ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি পানির পাত্রের সঠিক উচ্চতা নিশ্চিত করতে হবে যেন মুরগি খুব সহজে আরামেই পানি গ্রহণ করতে পারে।
* পানিতে ব্যবহার উপযোগী অ¤øকারক উপাদানসমূহ যেমন, ভিনেগার, পটাশিয়াম ক্লোরাইড, এমোনিয়াম ক্লোরাইড এবং এমোনিয়াম সালফেট এর ব্যহার এবং কার্যকরিতা নজরদারিতে রাখতে হবে।
* কিডনি রিভিটালাইজার ব্যবহারের মাধ্যমে কিডনির কার্যকারিতা সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়।
* মিথাইল ডাইহাইড্রোক্সি এনালগ, ডাই ইউরেটিকস এবং ডাবের পানি প্রভৃতি ব্যবহার গাউট নিয়ন্ত্রণে উপকারী কার্যকারিতা পাওয়া যায়
গাউট বাংলাদেশে বেশ কিছু খামারে মারাত্মক মর্টালিটি, আক্রান্ত হয়ে খামারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষণীয় হলে দ্রæত উপযুক্ত উপকরণসহ ব্যবস্থাপনা ও যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান
ডেপুটি ম্যানেজার টেকনিক্যাল, রাশিক জিপি হ্যাচারী লিমিটেড, মোবাইল : ০১৭২৩৭৮৬৮৭৭, ই-মেইল : mustakahammad@gmail.com